স্বাধীনতা দিবস ২০২৪ কবিতা Top Wishes, Status & Messages


Today we will share with you the recitation of the poem of freedom. If you want to know the history and context of independence then this post is for you. We will attach here some recitations of the poems of independence to know the history and events of independence. Moreover, on the occasion of 26th March, all government and non-government organizations organize poetry recitations of independence. The main purpose of reciting poetry is to know the history and events of independence through reciting poems.
Let us learn the history of independence by reciting the poems of independence and by reciting poems in the court of the world we can give the opportunity to know the significance and events of the independence of Bangladesh.
Table of Contents:
স্বাধীনতার কবিতা আবৃতি:
Are you looking for a poem about freedom? However, this post is also applicable to those who are looking for poetry recitations and want to collect poetry recitations. It is very easy for the present generation and future generations to know the importance of freedom and others through the recitation of freedom poems.
At the end of the recitation of the poem of independence, it can be said without any doubt that Bangladesh has a long history of gaining independence. That is why Bengalis observe 26th March every year in different ways to commemorate independence. One of them is the recitation of the poem of freedom. For those who like poetry recitation and want to know the history of the independence of Bangladesh through poetry recitation, we have presented some independence poetry recitations here.
- স্বাধীনতা দিবস, তুমি
– মুহম্মদ কবীর সরকার(Mahdi Kaabir)
স্বাধীনতা দিবস,তুমিই স্বাধীন
আজ কেহ নেই তোমার অধীন।
বদলে গেছে ৭১আর আজকের দিন।
যে যার রাজত্বের রাণী
স্বাধীনতা দিবস তুমি
চৌয়াল্লিশ বছর পূর্বে তোমাকে
এনেছিলাম বুকের রক্ত দিয়ে লিখে।
জায়গা দিয়েছিলাম এই বুকে।
শত প্রাণ শত আঘাত ভুলে,
তোমার ঘরেও যে পরাধীনতা
মারামারি প্রাণ হীন নাশকতা
ওগো মোর প্রিয় স্বাধীনতা।
তবে তুমি কেন আসলে?
স্বাধীনতা দিবস তুমি
তোমার লগনে ও কাঁপছে ভূমি
তুমি যে এসেছ ভুলে যায় আমি।
একটি পতাকা পেলে
- আমি একজন বোনের কথা জানি।
- একাত্তরে তার পেটে গুলি লেগেছিল। তাকে নেয়া হয়েছিল
- আগরতলার হাসপাতালে।
- রক্ত দরকার। রক্ত জোগাড় করা যায়নি,
- ডাক্তারের হাত ধরে তিনি বলেছিলেন, দাদা, আমি তো মারা যাচ্ছি,
- আপনি কথা দেন যে দেশটাকে স্বাধীন করে যাবেন।
- আমি একজন বাবার কথা জানি।
- তাঁর একমাত্র ছেলে নারায়ণগঞ্জে অপারেশনে এসে শহীদ হলো।
- মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে সেই খবর দিল, কাকা, আপনার ছেলে শহীদ হয়েছে।
- তিনি কাঁদতে লাগলেন। বললেন, আমি এ জন্য কাঁদছি না যে আমার একমাত্র ছেলে শহীদ কেন হলো?
- আমি কাঁদছি এই জন্য যে আমার কেন একটা মাত্র ছেলে।
- আজ আরেকজন ছেলে থাকলে তো আমি তাকে যুদ্ধে পাঠাতে পারতাম।
- যেমন এক নারী ভোরবেলা গ্রাম্য কুটিরের দুয়ারে
- বসে কোরান শরিফ পড়ছিলেন,
- ভেতরে ছিল মুক্তিযোদ্ধারা,
- পাকিস্তানি মিলিটারি ওই ঘরের দুয়ার থেকে ফিরে গেল,
- মুক্তিযোদ্ধা নিরাপদে সরে গিয়ে আক্রমণ করল পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর,
- ফেরার পথে মিলিটারিরা জ্বালিয়ে দিল ওই বাড়ি,
- শহীদ হলেন সেই নারী।
- আমি একজন নারীর কথা জানি,
- যিনি একটা পুকুরের পাশে কাপড় কাচছিলেন,
- সেই পুকুরে পানার নিচে কোনো রকমে নাক ভাসিয়ে লুকিয়ে ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা।
- মিলিটারি বলল, মুক্তি কিধার হ্যায়,
- নারীটি বললেন, দেখিনি,
- মিলিটারি চলে যাচ্ছিল,
- হঠাৎ নড়ে উঠল পানা,
- মিলিটারি গুলি করে মেরে ফেলল সেই নারীটিকে।
- চালাল গুলি,
- রাস্তায় পড়ে গেলেন ফারুক ইকবাল।
- পানি, একটু পানি—আর্তি শোনা গেল,
- জনতা ছুটল পানির খোঁজে,
- ফিরে এসে দেখল ফারুক ইকবাল বুকের রক্ত দিয়ে কালো রাজপথে
- লেখার চেষ্টা করছেন ‘জয় বাংলা’।
- আমি তো কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের কথা জানি, ১৯৭১–এর ২৬ মার্চ ভোরে
- পাকিস্তানি মিলিটারি তাঁর বাড়ি ঘেরাও করল,
- বুটের শব্দ খট খট খট,
- দরজায় আঘাত ঠক ঠক ঠক,
- তিনি দরজা খুললেন,
- তারা বলল, বল, পাকিস্তান জিন্দাবাদ,
- তিনি বললেন, এক দফা জিন্দাবাদ,
- তারা বলল, বল, পাকিস্তান জিন্দাবাদ,
- তিনি বললেন, স্বাধীনতা…
- আমাদের বড় ভাইয়েরা হাসতে হাসতে তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আমাদের ভালো রাখার জন্য
- আমাদের একটা নির্ভয় দেশ দেবেন বলে...
- তাঁরা আমাদের দেশ দিয়ে গেছেন
- পতাকা দিয়েছেন,
- মানচিত্র দিয়েছেন।
- আমাদের আগের প্রজন্ম,
- তাঁরা তাঁদের কাজ করে গেছেন।
- আমি তো ফারুক ইকবালের গল্প জানি,
- তিনি আবুজর গিফারী কলেজের ছাত্র ছিলেন,
- ১৯৭১ সালের মার্চের তিন তারিখে বঙ্গবন্ধুর জনসভায় যাওয়ার জন্য মিছিল নিয়ে বেরিয়েছিলেন মালিবাগ থেকে,
- রামপুরা টিভিভবনের সামনে পাকিস্তানি সৈন্যরা রাস্তা পাহারা দিচ্ছিল,
শহীদদের প্রতি – আসাদ চৌধুরী
- তোমাদের যা বলার ছিল
- বলছে কি তা বাংলাদেশ ?
- শেষ কথাটি সুখের ছিল ?
- ঘৃণার ছিল ?
- নাকি ক্রোধের,
- প্রতিশোধের,
- কোনটা ছিল ?
- নাকি কোনো সুখের
- নাকি মনে তৃপ্তি ছিল
- এই যাওয়াটাই সুখের।
- তোমরা গেলে, বাতাস যেমন যায়
- গভীর নদীযেমন বাঁকা
- স্রোতটিকে লুকায়
- যেমন পাখির ডানার ঝলক
- গগনে মিলায়।
- সাঁঝে যখন কোকিল ডাকে
- কারনিসে কি ধুসর শাখে
- বারুদেরই গন্ধস্মৃতি
- ভুবন ফেলে ছেয়ে
- ফুলের গন্ধ পরাজিত
- স্লোগান আসে ধেয়ে।
- তোমার যা বলার ছিল
- বলছে কি তা বাংলাদেশ ?
একটি পতাকা পেলে
– হেলাল হাফিজ
- কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
- আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা
- কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
- ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস
- ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,–’পেয়েছি, পেয়েছি’।
- কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
- পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে
- ওম নেবে জাতীয় সগীত শুনে পাতার মর্মরে।
- কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
- ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে–বোশেখে,
- বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে–ভাতে।
- কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
- আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ–খামারে,
- সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ
- সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।